অনলাইন ডেস্ক
দুজন মানুষ যখন কোন সম্পর্কে জড়ান, তখন তারা একে অপরের কাছে অনেক কিছুই আশা করেন। আর এর ব্যত্যয় ঘটলেই দুজনের মধ্যে চলে রাগ কিংবা অভিমান। অনেক সময় তর্ক কিংবা কথা কাটাকাটি চলাকালেও এমনটা হতে পারে। যদি শুরুতেই সঙ্গীর এই অভিমান ভাঙানো না যায় তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই সম্পর্কে এর খারাপ প্রভাব পড়ে। পরবর্তীতে এটি সম্পর্ক ভাঙনেরও কারণ হতে পারে। কাজেই শুরুতেই নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়াই ভালো। তা না হলে এভাবে কতক্ষণ আর অভিমান পুষিয়ে রাখবেন? কাউকে না কাউকে তো অভিমান ভাঙানোর উদ্যোগ নিতেই হবে। ধরুন, আপনার ভুলেই ঝগড়াটা হয়েছিল। পরে আপনি নিজের ভুল বুঝতেও পেরেছেন। এজন্য সঙ্গীকে বার বার সরিও বলেছেন কিন্তু কিছুতেই অভিমান ভাঙাতে পারছেন না। এক্ষেত্রে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে করতে পারেন কিছু কাজ-
সরি বলুন
যদি দেখেন সঙ্গী অনেক বেশি অভিমান করে বসে আছেন তাহলে উদ্যোগটা আপনারই নেওয়া উচিত। আপাতত ক্ষমা চেয়ে অভিমান ভাঙিয়ে ফেলুন সঙ্গীর। যদি দোষটি তার হয় তবে যখন রাগ বা অভিমান থাকবে না তখন বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তাই সঙ্গীর অভিমানের সময়ে নিজেও অভিমানি না হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিন।
সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করুন
অনেক সময় সঙ্গী যে অভিমান করেছেন তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। এতে করে রাগ, দুঃখ অভিমানটা আরও বেড়ে যায় সঙ্গীর। তাই সঙ্গী অভিমান করেছেন কিনা এবং কোন কথায়, কী কারণে অভিমান করেছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। এবং অবশ্যই নিজে অভিমান ধরে নিয়ে বসে থাকবেন না। দুজনে একবারে অভিমান করলে তো সমস্যার সমাধান হবে না।
শুরুতেই সমস্যার সমাধান
যখনকার সমস্যা তখনই মেটাবার চেষ্টা করুন। অভিমান করে বসে থাকলে তা দিনে দিনে বাড়তেই থাকে। যদি রাগ উঠে যায় এবং অভিমান হয় তাহলে সেই ব্যাপারটি তাৎক্ষণিকভাবে মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। এতে করে এই বিষয়টি নিয়ে পরে আবার ঝগড়া হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
প্রতিশোধ নিবেন না
সঙ্গীর উপরে প্রতিশোধ নিতে যাবেন না ভুলেও। অনেকে রাগ বা অভিমান করে এই ভুল কাজটি করে থাকনে। এতে সমস্যা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।
অ্যালবাম দেখুন
রাগ কিংবা অভিমান হলে অ্যালবামে দু’জনের সুন্দর মুহূর্তের ছবি দেখুন। এতে করে দেখবেন রাগ কোথায় যেন উধাও হয়ে গেছে।
সঙ্গীকে কিছুটা সময় দিন
ঝগড়া হওয়ার পর থেকে হয়তো আপনি অনেক চেষ্টা করছেন সঙ্গীর মান ভাঙাতে। বার বার সরি বলছেন। কিন্তু তাতে হিতে বিপরীত ফল হচ্ছে? কিছুটা সময় একা ছেড়ে দিন সঙ্গীকে। তাকে তার মতো থাকতে কিছুটা সময় দিন। আপনার অনেক সরিতেও যে কাজ হয়নি, সময় দিলে অনেক সময় সেই সমস্যা সহজেই মিটে যায়।
সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি নয়
সঙ্গীকে আপনার রাগ বা অভিমানটি বোঝানোর জন্য অন্য কাউকে ডেকে আনবেন না। নিজের সমস্যা নিজেদের মধ্যেই রাখার চেষ্টা করুন। বরং পরামর্শ চাইতে পারেন কারো কাছে।
প্রতিবাদে পিছপা হবেন না
অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পিছপা হবেন না। যদি সঙ্গীর আসলেই দোষ থাকে এবং আপনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার পরও তিনি না স্বীকার করেন তাহলে কষ্ট পেয়ে আরও অভিমান করে চুপ হয়ে যাবেন না। সমান তেজে নিজের প্রতি হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন। এতে পরবর্তীতে সঙ্গী ভুল করতে গেল দুবার ভেবে নেবেন।
সম্পর্ক গড়ার চিন্তা করুন
সম্পর্ক ভাঙার চিন্তা না করে সমস্যা মেটানোর চিন্তা করুন, রাগ বা অভিমান হলে সকলেই প্রথমে সম্পর্ক ভেঙে ফেলার কথাটি ভাবেন। কিন্তু এই বিষয়টি না ভেবে ভাবুন সমস্যা কীভাবে সমাধান করবেন। তাহলেই রাগ ও অভিমানের মতো ছোট ব্যাপার মিটে যাবে খুব সহজেই।
পছন্দের খাবার রান্না করুন
নিজের সঙ্গী বা সঙ্গিনী যিনিই অভিমান করে থাকুন না কেন সকলেই পছন্দ করেন যদি তার প্রিয় মানুষটি তাকে গুরুত্ব দেন। আপনি যদি রাঁধতে নাও পারেন তারপরও একবার চেষ্টা করে দেখুন। আপনার তার প্রতি মমতা এবং কেয়ার দেখে তিনি আর অভিমান ধরে রাখতে পারবেন না। হয়তো শুনতে হতে পারে ‘রাঁধতে না জেনে রান্না করতে গিয়েছ কেন?’ কিন্তু তারপরও তিনি কথা তো বলবেন।
উপহার দিন
পছন্দের জিনিসটি সামনে পেলে কিংবা উপহার পেলে কেউই অভিমান ধরে রাখতে পারেন না। মুখে হাসি ফুটবেই। তাই নিজের অভিমানী প্রিয় মানুষটির জন্য পছন্দের কিছু জিনিস কিনে আনুন বা সাধ্যের মধ্যে যা পারেন উপহার দিন। ভাঙিয়ে ফেলুন অভিমান। কবিতা, চিঠি, এসএমএস দিয়েও সঙ্গীর মুখে হাসি ফোটাতে পারেন।
সঙ্গীর মুখে হাসি ফুটান
মনে করে দেখুন আপনার কোন কাজ এবং কথায় সঙ্গী অনেক বেশি খুশি হন এবং তার মুখে হাসি ফুটে উঠে। তাহলে সেই কাজ এবং কথাগুলোই বলুন। অথবা সঙ্গীকে আলিঙ্গন করতে পারেন বা মিষ্টি করে একটি চুমু এঁকে দিন কপালে। দেখবেন সঙ্গী আর অভিমান ধরে রাখতে পারবেন না। চাইলে তাকে পছন্দের কোন গানও শোনাতে পারেন।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply